সালমান এফ রহমানের ৯৭ শতাংশ আয় পুঁজিবাজারে

সালমান এফ রহমানের ৯৭ শতাংশ আয় পুঁজিবাজারে

সালমান এফ রহমানের মোট বার্ষিক আয়ের ৯৬ দশমিক ৬০ শতাংশ আসে পুঁজিবাজার থেকে। তার শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত এবং ডিবেঞ্চার থেকে মোট বার্ষিক আয় ২৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।


ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেন তিনি।


হলফনামায় সালমান এফ রহমান উল্লেখ করেছেন, তার বার্ষিক আয় ২৫ কোটি ৩১ লাখ ২১ হাজার ২৭৩ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাতে তার আয় ৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানতে আয় ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৪ টাকা, চাকরির মাধ্যমে আয় ৮১ লাখ ৪১ হাজার ৭২৫ টাকা। এছাড়া ব্যাংক সুদ এবং করমুক্ত আয় যথাক্রমে ৩ হাজার ০৪ এবং ৫০ হাজার টাকা।


বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যানের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩১২ কোটি ৯ লাখ টাকা, যার মধ্যে ৯৪ শতাংশের বেশি অস্থাবর বন্ড, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার এবং লেটার অব ক্রেডিট।


তার বার্ষিক আয়ের ২৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আসে ডিবেঞ্চার, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র ও শেয়ার থেকে। ২০১৮ সালে সালমানের বার্ষিক আয় ছিল ৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সেই তুলনায় তার বার্ষিক আয় বেড়েছে ১৬ কোটি টাকা।


সালমানের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩১২ কোটি ৯ লাখ টাকা, যার মধ্যে বিনিয়োগ ২৯৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা, নগদ ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, যানবাহনে ৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বৈদ্যুতিক সামগ্রীতে ৬০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্রে ৩৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা।


হলফনামায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানি, বন্ড ও ডিবেঞ্চারে তার বিনিয়োগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


২০১৮ সালে সালমানের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৭৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।


এ বছরের হলফনামায় বলা হয়েছে, সালমান এফ রহমানের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে তার স্ত্রীর ৩২ কোটি ৪৭ লাখ টাকার আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পত্তি রয়েছে। সালমানের ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার অকৃষি জমি এবং তার স্ত্রীর ৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার জমি রয়েছে।


২০১৮ সালে সালমান দেখিয়েছিলেন, তার ৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা মূল্যের একটি ভবন আছে, কিন্তু তার স্ত্রীর নেই।


২০১৮ সালে সালমান দেখিয়েছিলেন, তার ২ কোটি ৩ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি রয়েছে। তার স্ত্রীর ৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি ছিল।


২০২৩ সালের হলফনামায় সালমানের নামে ৮০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে, যার মধ্যে ৫৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা জামানত বিহীন লোন এবং ২৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে তার ঋণ ছিল ৮৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, অর্থাৎ তার ঋণ কমেছে ৩ কোটি টাকা।


২০১৮ সালে সালমানের স্ত্রীর নামে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ঋণ ছিল। তবে এবার স্ত্রীর নামে কোনো ঋণ দেখাননি সালমান।


আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকের এ প্রার্থী হলফনামায় নিজের নাম উল্লেখ করেছেন সালমান ফজলুর রহমান, বাবা ফজলুর রহমান, মা সৈয়দা ফাতিনা রহমান। স্থায়ী ঠিকানা-বেথুয়া, মুকসুদপুর, দোহার, ঢাকা।


বর্তমানে তিনি কোন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নন বলেও হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক।


এর আগে গত ২৯ নভেম্বর দুপুরে দোহারের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলমের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন সালমান এফ রহমান।


২০১৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় সালমান এফ রহমান ও সালমা ইসলামের মধ্যে। ৩ লাখ ২ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন নৌকার প্রার্থী সালমান। আর স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে সালমা ইসলাম মোটরগাড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৭৬৩ ভোট পান।


২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবদুল মান্নান খানকে হারিয়ে এ আসনের এমপি হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত