রোববার (১০ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মানবাধিকার সংক্রান্ত গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশে বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘৃণ্য ও জঘন্যতম উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তার নজির সমসাময়িক বিশ্বের কোথাও নেই। মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব রেকর্ড তারা ভঙ্গ করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে প্রথম কবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল? দেশের স্বাধীনতার পর ১৫ আগস্টের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল এবং বাংলাদেশে এমন ঘটনা তার আগে ঘটেনি। নেত্রী বলেছিলেন, এ দেশে আমার বাবার হত্যার বিচার চেয়েও পাইনি। চট্টগ্রামের মৌলভী আবুলকে গুম করে দেশের রাজনীতিতে গুমের ধারা প্রথম চালু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। সেই ধারা খালেদা জিয়া অব্যাহত রেখেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলার আশঙ্কা আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কারো সঙ্গে কোনো কনফ্লিক্ট নেই। আমরা পরাশক্তি হতে চাই না। আমরা সুপার পাওয়ার হতে চাই না। আমরা যেভাবে আছি, আমাদের জনগণকে নিয়ে ভাল থাকতে চাই, সুখে থাকতে চাই।
ভূ-রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধ নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ভালো কথা সবাই বলার চেষ্টা করে। বাস্তবতাটা যে বড় কঠিন। যারা ভালো কথা বলেন তারাও জানেন। আমাদের অর্থনীতি নিজেদের বিষয়। সারা বিশ্বের অর্থনীতি এখন আবর্তিত হচ্ছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের ওপর। যে কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতি ও বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়েছে। সেখান থেকে আমরাও মুক্তি পাইনি। আমরা সংকট সৃষ্টি করিনি অথচ আমাদেরই এই সংকটের মূল্য দিতে হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/এমআই