রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বিশালতা আর দৃঢ়তার প্রতীক পর্বত পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার অন্যতম উপাদান।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিবারের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ও মানুষের অপরিকল্পিত ভূমি ব্যবহারের কারণে বিশ্বব্যাপী পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া অতিবৃষ্টি, খরা, ঝড়-ঝঞ্ঝা এবং বৃক্ষ নিধনের প্রভাবে পার্বত্য এলাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধিসহ পার্বত্য অঞ্চলগুলোর পরিবেশ রক্ষায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। পার্বত্য অঞ্চলের মাটি ও মানুষের সুরক্ষা এবং টেকসই ব্যবহারের উদ্দেশে পর্বত দিবস পালন একটি প্রশংসনীয় কার্যক্রম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি, নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পার্বত্য অধিবাসীদের বর্ণিল কৃষ্টি ও ঐহিত্য সমৃদ্ধ পার্বত্য অঞ্চল বাঙালিদের পাশাপাশি বিশ্ববাসীকেও আকর্ষণ করে। আমি আশা করি, আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস পালনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।
পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে মো. সাহাবুদ্দিন সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশের ভারসাম্যের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়েও বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
রাষ্ট্রপতি ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।