ইবিতে তথ্য অধিকার আইন কর্মশালা

ইবিতে তথ্য অধিকার আইন কর্মশালা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ এর অংশ হিসেবে ‘তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন ভবনের চতুর্থ তলায় কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগে এটি সম্পন্ন হয়।


অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।


বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম খান এবং আলোচক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ উপস্থিত ছিলেন।


কর্মশালায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি আজকের এই তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক। আমাদের কাজ হলো কীভাবে শিক্ষার্থীদের তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধি করা যায়, কীভাবে আমাদের শিক্ষার্থীদের সচেতন করা যায় এবং কোথায় গেলে কোন তথ্য সঠিকভাবে পেতে পারে তা নিয়ে সচেতন করে তোলা। আগামীর যে আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে তার সাথে যেনো তাল মিলিয়ে যেতে পারে সেভাবে গ্র‍্যাজুয়েট তৈরী করাই আমাদের লক্ষ্য। একসময় বলা হতো নলেজ ইজ পাওয়ার কিন্তু বর্তমান সময়ে বলা হয় ইনফরমেশন ইজ পাওয়ার। তাই আমাদের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে ইনফরমেটিভ হতে হবে।


এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার মানে কি?যদি আমরা জাতীয় শুদ্ধাচার সম্পর্কে বুঝি তবেই আমরা তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে গনমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে জেনে নিজেকে তৈরি করতে পারবো। আমরা কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগ থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে বের হয়ে যাই তাহলে আমাদের প্রফেশন কিন্তু এমনই হওয়া উচিৎ। তাহলে আমি আমাকে শুদ্ধাচারের প্রতি নিয়ে যেতে পারলাম কি না? ইথিকালি আমি ঠিকভাবে সে জায়গায় যেতে পারলাম কি না? আমি এখান থেকে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে সমাজে যে একটা বিচরণ করবো, আমি যে সমাজ গঠনের প্রয়াস রাখবো সেখানে কি আমি সফল হবো? আমি যদি আমার চরিত্রটাকে ঠিকভাবে গঠন করে না নিয়ে যেতে পারি তাহলে তো আমার দ্বারা এ সমাজ সঠিক মাত্রায় পরিশুদ্ধ করতে পারবো না।


তিনি আরো বলেন, মূখ্য আলোচকের কাছে একটি প্রশ্ন,আমি মাঝেমাঝেই দেখি প্রিন্ট মিডিয়া,ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় একটি রিপোর্ট প্রকাশ করছে যার কোনো ভ্যালু নাই,ভিত্তি নাই,একটি গল্পকে ছেড়ে দিলেন,এতে সমাজ বিভ্রান্ত হলো। এটাই কি ইথিকস?এটা তো ইথিকস নয়। ইথিকস হচ্ছে নিজেকে পরিশুদ্ধ করা।


কর্মশালায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, কখনো কখনো তথ্য নিজ থেকে তৈরি করা হয় বিকৃতির জন্য, কিন্তু এই বিকৃতির তথ্যের মাধ্যমে কার যে পক্ষে যায় আর কার যে সর্বনাশ হয় তা বলা মুশকিল। তথ্য অধিকার আইন দরকার আর এই আইন তৈরি করতে অবশ্যই গণমাধ্যমের প্রভাব রয়েছে। আইন তৈরি করতেও যেমন গণমাধ্যম ভূমিকা রাখছে এবং আইন তৈরি হওয়ার পরও পাসপেক্টটিভ অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতেও গণমাধ্যম বিশেষ ভূমিকা আছে।


তিনি আরও বলেন, তথ্য জানা এবং জানানো এই দুইটিকে মিলিয়ে যে আইন তাই-ই তথ্য অধিকার আইন। এই বিষয় নিয়ে আমরা বহু সেমিনার করেছি, প্রায় ৩৬ টা অবজারভেশনে আমার আছে ছিলো। তথ্যের কাজ হলো নিজে জানা এবং অপরকে জানানো, আজ পৃথিবীতে যতো কাড়াকাড়ি, হানাহানি সবই এই তথ্যকে নিয়ে। যার কাছে যতো তথ্য আছে সে তত ক্ষমতাশালী। এই জিনিসটা পর্যবেক্ষনের ফলে ২০০৯ সাথে তথ্য অধিকার আইন পাশ হয়। এই আইনের মাধ্যমে তথ্য লুকিয়ে রাখার যে বিষয়টা তা ধীরে ধীরে কমে আসছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা
এসএসসির আগেই শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষা
নিয়োগ দেবে ইসলামী ব্যাংক, ৩৬ বছরেও আবেদনের সুযোগ
প্রাথমিকে বাৎসরিক ছুটি বাড়িয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ
এইচএসসি পাসে চাকরি দেবে আগোরা
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষা হবে আনন্দময়
আজ ৪৬তম বিসিএসের আবেদনের শেষ সময়
থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাবিতে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
আইআইএবি’র এজিএমে বোর্ড অব গভর্নরসের ১০ সদস্য নির্বাচিত
বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরি, আবেদন শেষ ৫ জানুয়ারি