নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ও এ সময়ে জেলেদের সহায়তা দিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২২ দিন গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও সমুদ্র মোহনায় কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদে জুম্মার নামাজের খুতবায় ইমামেরা মা ইলিশ রক্ষার গুরুত্ব ও আইন ভঙ্গের শাস্তির বিষয়ে আলোচনা করবেন।
‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০’ উপলক্ষে গতকাল সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় নিয়ে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে মৎস্য সংরক্ষণ আইন সংশোধন করে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময়সীমা ২২ দিন করা হয়েছে। এ সময় দেশের জলসীমায় কোনোভাবেই মা-ইলিশ আহরণ করতে দেওয়া হবে না। মা ইলিশ থাকতে পারে এমন নদীতে কাউকে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না। নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উপায়ে মনিটর করা হবে যেন কোনো নৌকা বা জাহাজ ইলিশ ধরতে না পারে।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর বিশ্বে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৮০ ভাগের বেশি বাংলাদেশে হয়েছে। ইলিশের আকার ও স্বাদ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো। ইলিশ একটা সময় দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছিল, নানা প্রচেষ্টায় সেই ইলিশ এখন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে। এই উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ৩৬ জেলার ১৫২ উপজেলায় কর্মসূচি থাকবে।