বাংলাদেশের জন্য ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বোর্ড সভায় অনুমতি পেয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এ অনুমতি দেওয়া হয়।
ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভে যোগ হবে শুক্রবার। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য জানান।
মেজবাউল হক বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে গতকাল। শুক্রবার বা শুক্রবারের মধ্যে আমাদের অ্যাকাউন্টে (হিসাব) সে অর্থ যোগ হবে।
আইএমএফ চলতি বছরের জানুয়ারিতে মোট ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। অর্থনীতির সংকট মোকাবিলায় এ ঋণ দেওয়া হয়। ঋণ অনুমোদনের পরপরই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য গত জুনভিত্তিক বিভিন্ন সূচকে শর্ত পালনের অগ্রগতি দেখতে ৪ অক্টোবর আইএমএফের একটি মিশন ঢাকায় আসে। মিশনের নেতৃত্ব দেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিশনকে জানানো হয়, অন্যান্য শর্তের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে রিজার্ভ এবং রাজস্ব আয় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি। দেশের জাতীয় নির্বাচনের পর এ বিষয়ে জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হবে। মিশনটি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দপ্তরের সঙ্গে টানা ১৬ দিন বৈঠক করে।