বেলজিয়ান পেশাদার ফুটবল ক্লাব রয়্যাল অ্যান্টুয়ার্প ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথমবারের মত খেলার সুযোগ পেয়েছে এবারই। গ্রুপ পর্বের প্রথম ৫ ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি। উল্টো আরও ১৭ গোল হজম করে লজ্জা নিয়েই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের প্রহর গুনছিলো।
কিন্তু বুধবার রাতটা যে তাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তা খোদ অ্যান্টুয়ার্প ফুটবলাররাও কল্পনা করেনি। বুধবার রাতে নিজেদের মাঠ বোসুইলিস্টাডিওনে দলটি স্বাগত জানিয়েছিলো লিওনেল মেসির সাবেক ক্লাব, স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনাকে।
ঘরের মাঠে সুযোগ পেয়ে জাভি হার্নান্দেজের দলের বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নিলো স্বাগতিকরা। বার্সেলোনাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে অ্যান্টুয়ার্প। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যান্টুয়ার্পের এটাই প্রথম কোনো পয়েন্ট। তাও ড্র করে নয়, রীতিমত বার্সেলোনাকে হারিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করেই এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যাত্রা সমাপ্ত করলো বেলজিয়ান ক্লাবটি।
অ্যান্টুয়ার্পের কাছে লজ্জাজনক এই হারেও অবশ্য সমস্যা হয়নি বার্সার। ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সেরা হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। সমান পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তো।
ম্যাচের একেবারে শুরুতেই বার্সেলোনার মনোবল ভেঙে দেন অ্যান্টুয়ার্পের টিনেজ ফুটবলার আর্থার ভারমিরেন। ৯০ সেকেন্ডের মাথায় বার্সার জালে বল জড়িয়ে দিয়ে কাতালান সমর্থকদের স্তব্দ করে দেন তিনি।
গোল হজম করে কিছুটা বিস্মিত হয়ে যায় বার্সা। সেই বিস্ময়ভাব কাটিয়ে সমতায় ফিরতে বার্সার সময় লেগে যায় ৩৫তম মিনিট পর্যন্ত। ফেরান তোরেসের দারুণ এক গোলে সমতায় ফেরে তারা।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর ১১তম মিনিটের মাথায় (ম্যাচের ৫৬ মিনিটে) আবারও এগিয়ে যায় বেলজিয়ামের স্থানীয় ক্লাবটি। ভিনসেন্ট ইয়ানসেনের গোলে ২-১ করে ফেলে অ্যান্টুয়ার্প।
২-১ গোলেই ম্যাচটি শেষ হতে যাচ্ছিলো। কিন্তু নাটকীয়তা যেন তখনও বাকি ছিল। খেলা মূলত জমে ওঠে শেষ মুহূর্তে ইনজুরি সময়ে। ৯০+১ মিনিটে গোল করে বার্সাকে সমতায় ফেরান ১৭ বছর বয়সী ফুটবলার মার্ক গুইউ। ঠিক এক মিনিট পরই (৯০+২ মিনিটে) অ্যান্টুয়ার্পের হয়ে জয়সূচক গোলটি করে দেন আরেক টিনেজ ফুটবলার জর্জ ইলেনিখেনা।