যদিও প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রার্থীরা প্রচারণার কৌশল নিয়ে নিয়মিত বৈঠক আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব রয়েছেন। তবে সোমবার থেকে তারা নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে ভোটারদের কাছে যাবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট চাওয়া শুরু করবেন। সেই প্রচারণা ঘিরে সারাদেশে প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
জাতীয় নির্বাচনে ইসির বৈধতা পাওয়া প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এদিন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের বরাবর আবেদন করে প্রার্থীদের অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এরপর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ইসি। সোমবার প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর ওইদিন থেকেই তারা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
এদিকে, রোববার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে দলীয় ও জোট শরিক প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তালিকা মোতাবেক, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬৩ আসনে লড়বে। জাতীয় পার্টিকে ২৬টি এবং শরিকদের ৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এর আগে আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও এরমধ্যে ৫টি আসন ইসির বাছাইয়ে বাতিল হয়ে যায়।
জাপার সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। এই আসনগুলোতে দলীয় কোনো প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- বগুড়া ৪, রাজশাহী ২, কুষ্টিয়া ২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪। এসব আসনেও দলীয় প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।