দেশে ব্যবসা করা বেসরকারি জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ সম্মিলিতভাবে ২০২২ সালে কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে সম্পদের পরিমাণও। অপরদিকে সাধারণ বিমা খাতের বিনিয়োগ ও সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইএর প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। সভায় বিমা কোম্পানী সমূহের চেয়ারম্যান, পরিচালকবৃন্দ এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিআইএর প্রেসিডেন্ট আগত প্রতিনিধিদের ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের উপর আলোচনায় অংশগ্রহন করার জন্য অনুরোধ করেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন, ২০২২ সালের অডিট রিপোর্ট অনুমোদন এবং ২০২৩ সালের হিসাব নিরীক্ষার জন্য অডিট ফার্মনিয়োগ ও পারিশ্রমিক নির্ধারণ খান ওহাব শফিক রহমান অ্যান্ড কোম্পানি ৬০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নির্ধারণ।
সভায় উপস্থাপিত বিআইএর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী জীবন বিমা খাতে প্রাইভেট বিমা কোম্পানীগুলোর উপার্জিত প্রিমিয়াম আয়ের পরিমান ছিল ২০২২ সালে ১০৬,১৬৬ মিলিয়ন টাকা যা ২০২১ সালে ৯৬,২৮৯ মিলিয়ন টাকা। বেসরকারী জীবন বিমা খাতের লাইফ ফান্ড ২০২২ সালে ৩১৫,৯৫৫ মিলিয়ন টাকা এবং ২০২১ সালে ছিল ৩২৭,৪৭৮ মিলিয়ন টাকা। বেসরকারী জীবন বিমা খাতে ২০২১ সালের বিনিয়োগ ৩৩৩,৯৩৪ মিলিয়ন টাকা থেকে ২০২২ সালে ৩৩০,০৮১ মিলিয়ন টাকা। বেসরকারী খাতে জীবন বিমা কোম্পানীর মোট সম্পদ ২০২১ সালে ৪২৯,৪৬৮ মিলিয়ন টাকা থেকে ২০২২ সালে ৪২৮,৪১১ মিলিয়ন টাকা।
নন-লাইফ বিমা খাতে মোট প্রিমিয়াম আয়ের পরিমান ২০২১ সালে ছিল ৩৭,৮৪৯ মিলিয়ন টাকা ২০২২ সালে ৪১,৬২৬ মিলিয়ন টাকায় উন্নিত হয়। যা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা প্রায় ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। নন-লাইফ বিমা কোম্পানীর ২০২১ সালে সম্পদের পরিমান ১০৫,০৫৬ মিলিয়ন টাকা থেকে ২০২২ সালে ১১০,৭৬২ মিলিয়ন টাকায় উন্নিত হয়। নন-লাইফ বিমা খাতে ২০২১ সালের বিনিয়োগ ৫৩,২৯২ মিলিয়ন থেকে ২০২২ সালে ৫৯,৮৬১ মিলিয়ন টাকায় উন্নিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিআইএর প্রথম ভাইস-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল), বিআইএর ভাইস-চেয়ারম্যান এ কে এম মনিরুল হক, রুপালী ইন্স্যুরেন্সের উপদেষ্টা পি. কে. রায় এফসিএ ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বিমা শিল্পের বিকাশে সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে তা সমাধানের উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখেন। পরিশেষে বার্ষিক সাধারণ সভার সভাপতি ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ করিব হোসেন সমাপনী বক্তব্যে সকলকে একযোগে বিমা শিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।