বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বেজার কনফারেন্স কক্ষে তিতাস ইকোনমিক জোনকে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের হাতে এ লাইসেন্স তুলে দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
তিনি বলেন, জোনটির সফল বাস্তবায়নের ফলে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রাথমিকভাবে এ জোনে বিভিন্ন ভারী শিল্প, পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, পেপার ও বোর্ড,ফার্মাসিউটিক্যাল, তথ্য প্রযুক্তি পণ্য, পিভিসি, গার্মেন্টস, কেমিক্যাল, প্লাস্টিক পণ্য, প্যাকেজিং ও স্টিলসহ বৈচিত্র্যময় পণ্য প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, আমাদের থেকে যারা সার্টিফিকেট পেয়েছে অনেকে ভালো করতে পারেনি। মেঘনা গ্রুপের ৩ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা প্রচুর দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগকারী পাচ্ছি। মায়ানমারে যারা বিনিয়োগ করেছে তারা বাংলাদেশে চলে আসতে চায়। তাদের যদি আকর্ষণ করতে পারি তাহলে প্রচুর বিনিয়োগ পাবো। বেজায় যারা কাজ করে তাদের এ মানসিকতা থাকতে হবে তাদের যেন সহায়তা করতে পারি। প্রতিটা বিনিয়োগকারীই আমাদের কাছে মূল্যবান। তাদের সহায়তা করতে চাই।
জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে চালিভাঙ্গায় প্রায় ১৬১ একর এলাকা জুড়ে তিতাস ইকোনমিক জোনের অবস্থান। যা পরবর্তীতে ৪০০ একরে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রস্তাবিত ইকোনমিক জোনের উদ্যোক্তা মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রস্তাবিত জোনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদনের জন্য শিল্প স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জোন হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কারখানা ও প্রশাসনিক ভবন, পণ্যাগার, লজিস্টিক এলাকা, পানি ও বর্জ্য শোধনাগার, তৈরি করা হবে। পরিবেশের উপর যাতে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব না পরে তার জন্য পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
এমআই