বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে আমাদের অনেক প্রতিবেশী দেশ সমস্যায় পড়েছে। আমরা যাতে এ সমস্যায় না পড়ি, সেজন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রাজস্ব খাতে সংস্কার।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সেরা করদাতাদের ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা স্মারক দেওয়ার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, করোনার সময় যখন সারাবিশ্বে অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা ছিল, তখনও আমরা ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। যেটা বিশ্বের সামান্য কয়েকটি দেশ অর্জন করতে পেড়েছে। এ প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রধান হাতিয়ার আমাদের রাজস্ব। চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। আশাকরি বছর শেষে রাজস্ব বোর্ড লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে।
উপযোগিতা হারানো খাতে কর অব্যাহতি তুলে নিলে রাজস্ব আদায় অনেক বাড়বে বলে মনে করেন অর্থসচিব। তিনি বলেন, আমাদের এ মুহূর্তে অনেক কর অব্যাহতি দেওয়া আছে। যার মধ্যে অনেকগুলো এরই মধ্যে উপযোগিতা হারিয়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করে তা তুলে নিতে পারলে রাজস্ব বোর্ড অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করতে পারবে। সেইসঙ্গে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও ব্যক্তি করদাতার সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে কর কাঠামো। কাস্টমসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এখন আয়করের দিকে বেশি নির্ভরতার জায়গা তৈরি হচ্ছে। সে উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যাতে আয়করের পরিধি বাড়ে। কর বিভাগের সম্প্রসারণের জন্য ২৮টি নতুন জোনের প্রস্তাব এরই মধ্যে পাস হয়েছে। কর দেওয়া সহজীকরণের জন্য অটোমেশনসহ সব ধরনের কাজ করে যাচ্ছি। নতুন আয়কর আইন প্রণয়নের পর কর দেওয়া আরও সহজ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে দেশের সেরা ১৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৭৬জন ব্যক্তি, ৫৪টি কোম্পানি ও অন্যান্য ক্যাটাগরির ১১ জন রয়েছে।