নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ব্যক্তিগত রেকর্ডের একটি ম্যাচ দেখেছে বাংলাদেশ। যদিও সৌম্য সরকাররা ম্যাচের ফল পক্ষে আনতে পারেননি। একইদিন রাতে টাইগ্রেস মেয়েরা সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে। আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা হক পিংকি দ্বিতীয় শতক পেয়েছেন। যার ওপর ভর করে প্রোটিয়াদের ২২৩ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থেকে আজ (বুধবার) পচেফস্ট্রুমে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। টস জিতে তাদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক লরা উলভার্ট। এরপর দুই টাইগ্রেস ওপেনার শামীমা সুলতানা ও ফারজানা হক পিংকি শুরুটা করেন ধীরস্থিরভাবে। পিংকি ক্রিজে থিতু হলেও পায়ে টান পড়ায় ক্লান্তি দেখা যায় তার পরবর্তী পারফরম্যান্সে। নইলে বাংলাদেশের পুঁজিটা আরও বড় হতে পারত।
তবে শেষদিকে আউট হয়ে ফেরার আগে বাংলাদেশের ইনিংসে মূল ভিত গড়ে দেওয়া পিংকি ১৬৭ বলে ১০২ রান করেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া ফাহিমা খাতুন খেলেছেন ইমপ্যাক্ট ইনিংস। তার ৪৬ রানের ক্যামিও ইনিংস সফরকারীদের বড় পুঁজি এনে দিয়েছে। নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২২ রানের।
এর আগে প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ করেছিল ৩৮ রান। দলীয় ৪৮ রানে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী জুটি। মাসাবাতা ক্লাসের করা ১৩তম ওভারে ব্যক্তিগত ২৮ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার শামীমা সুলতানা। তিন নম্বরে ক্রিজে আসা আগের ম্যাচের নায়ক মুর্শিদা আজ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। মাত্র ৮ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান মারিজান ক্যাপ। পিংকিকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে পঞ্চাশোর্ধ রান (৫৮) এনে দেন অধিনায়ক জ্যোতি। তবে টাইগ্রেসদের মিডল অর্ডারের ভরসা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ক্রিজে। ক্যাপের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে জ্যোতি ১৩ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
তার আগে ৯০ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন পিংকি। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে নামা ফাহিমার আগমন রানের চাকা কিছুটা সচল করে। পিংকির সঙ্গে তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং জুটিতে বাংলাদেশকে পায় ৯৮ রান। এরপর বাংলাদেশের রেকর্ড সেঞ্চুরিয়ান পিংকি ১৬৫ বলে শতক পূর্ণ করেন। তার রানআউটে ভাঙে ম্যাচে টাইগ্রেসদের সবচেয়ে বড় রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ফাহিমা ৪৮ বলে তিন চারের বাউন্ডারিতে ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
প্রোটিয়াদের হয়ে মারিজান ক্যাপ ২টি এবং মাসাবাতা ক্লাস শিকার করেন একটি উইকেট।