এই অবস্থায় ছোট থেকে বয়স্ক, সবারই কাজে লাগতে পারে তুলসী পাতা। আমরা সবাই ছোটবেলা থেকে ঠাণ্ডা-কাশি লাগলে তুলসী পাতা বা তুলসীর রস খেয়েছি। শুধু পাতার রস যেমন খাওয়া হয় তেমনি মধু মিশিয়েও খাওয়া হয়। এই মিশ্রণের উপকার অনেক। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তুলসী পাতার গুণ তুলে ধরা হল।
ঠাণ্ডা-কাশি কমাতে
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ঠাণ্ডা, জ্বর ও কাশি সারাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তুলসী পাতা। তুলসী পাতা ও মধু একসাথে নিয়মিত কয়েকদিন খেলে ঠাণ্ডা কিংবা জ্বর সেরে যায় খুব সহজেই। আগেকার দিনে ঠাণ্ডা বা জ্বরের একমাত্র ওষুধই ছিল তুলসীপাতা কারণ এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই।
শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে
তুলসীতে লিনোলেয়িক এসিডের মত এসেনশিয়াল অয়েল রয়েছে যা আমাদের শ্বাসতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এই এসিড ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারী। এসেনশিয়াল অয়েল ছাড়াও এতে রয়েছে আরও কিছু উদ্বায়ী তেল যা অ্যালার্জি, ইনফেকশন ও রোগসৃষ্টিকারী জীবাণু হতে আমাদের দেহকে সুরক্ষা দেয়।
ব্রণ কমাতে
যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য দারুণ একটি টোটকা হল তুলসী পাউডার। আপনি যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে তুলসী পাউডারের সাথে নিম অথবা হলুদের গুড়া মিক্স করে ব্যবহার করুন দেখবেন সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে নিমেষেই।
তুলসী চা
তুলসী পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। যা আপনাকে দেবে মানসিক প্রশান্তি। এছাড়া এই চা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
এতে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুণ ভূমিকা পালন করে।