তিনি বলেছেন, ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। অন্যান্য ভোটে একমুখী সমস্যা থাকে। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন। তাদের আচরণবিধি মানতে বাধ্য করা হয়। এবারের নির্বাচনে নাশকতা, সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টির পাশাপাশি অতিরিক্ত সমস্যা হলো বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন। একটি বা দুটি দলের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শঙ্কা সৃষ্টি হতে পারে। সেইগুলো মোকাবিলা করে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা হবে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে অডিটোরিয়ামে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাকা অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটা সমন্বয় সভা বলা যেতে পারে। ভোট শান্তিপূর্ণ যাতে হয় তৃতীয় পক্ষ যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না করতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ভোট প্রতিহত-রেলে নাশকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নাশকতা একটি নয় একাধিক ঘটনা হচ্ছে। ২৮ অক্টোবর থেকে দেশে জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছে। অনেকে আইনের আওতায় এসেছে বাকিরাও চলে আসবে। এগুলো যাতে না ঘটে পুলিশ সজাগ রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ইসি থেকে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এবারের নির্বাচনে দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন