এদিকে আমদানি বাড়লেও দেশের বাজারে দাম কমেনি মসলাপণ্যটির। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট, টাকার অবমূল্যায়ন ও এলসি জটিলতাসহ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমছে না পণ্যটির।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বন্দরটি দিয়ে ২২ হাজার ৩০২ টন শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে, যার আমদানি মূল্য ৫৫৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম পাঁচ মাসে এ বন্দরে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছিল ১০ হাজার ৬৫৭ টন, যার আমদানি মূল্য ছিল ২৬৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্যটি আমদানি বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৫ টন, যা মোট আমদানির দ্বিগুণেরও বেশি।
ভোমরা বন্দর দিয়ে মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, অভ্যন্তরীণ বাজারে শুকনা মরিচের দাম বেশি হওয়ায় আমদানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে তার প্রতিষ্ঠানেও শুকনা মরিচ আমদানির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে আমদানি বাড়লেও দাম কমেনি পণ্যটির।
এ আমদানিকারক বলেন, ‘ভারতে সব ধরনের মসলাপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। ফলে আমদানি খরচও অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। পাশাপাশি ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে। এলসি জটিলতাও বাজার ঊর্ধ্বমুখী হতে ভূমিকা রেখেছে।’
সাতক্ষীরা জেলা শহরের সর্ববৃহৎ মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা আড়ত মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজে গতকাল পাইকারি পর্যায়ে শুকনা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫২০-৫৩০ টাকা দরে। এক মাস আগেও প্রতি কেজি শুকনা মরিচ ৪৭০-৪৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আড়তটির স্বত্বাধিকারী ফজর আলী বলেন, ‘আমদানীকৃত অধিকাংশ মসলাপণ্যের দাম বেড়েছে। শুকনা মরিচ সরবরাহ বাড়লেও আমদানি খরচ বেশি হওয়ার কারণে দাম কমছে না।’
সাতক্ষীরা জেলা মার্কেটিং অফিসার আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহ জানান, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমম্বয় রেখে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে শুকনা মরিচসহ অন্যান্য আমদানীকৃত মসলার দাম এখন কিছুটা বাড়তির দিকে।