চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাতটিতে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেবে ব্যাংক, যা গত বছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৪৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ১৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত বিতরণ করা মোট কৃষি ঋণের স্থিতি ৫৪ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা বকেয়া। সার্বিকভাবে কৃষি খাতে ঋণ খেলাপির হার ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় তিন হাজার ৮৭৮ কোটি।
এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ১৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে দেশের ব্যাংকগুলো। কৃষকরা শস্য, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি উৎপাদন খাতে বেশ ঋণ নিয়েছেন। আলোচিত সময় কৃষকের ঋণ পরিশোধও সন্তোষজনক। এসময় আগের নেওয়া ঋণ কৃষক ফেরত দিয়েছেন ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর কৃষি ঋণের লক্ষ্য ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।
কম সুদে কৃষকদের হাতে ঋণ পৌঁছাতে এবার ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার (এমএফআই) ওপর বেসরকারি ব্যাংকের নির্ভরশীলতা আরও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর এ জন্য ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তত ৫০ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রিয় ব্যাংক, যা এতদিন ছিল ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষিঋণের কত অংশ কোন খাতে দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রণীত কৃষি ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী, ভবনের ছাদে বিভিন্ন কৃষি কাজ করা একটি নতুন ধারণা। বর্তমানে শহরাঞ্চলে যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।