তিন জানুয়ারি থেকে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

তিন জানুয়ারি থেকে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে বিজিবি, এরপর ৩ জানুয়ারি সেনাবাহিনী নামবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিজিবি মোতায়েনের তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এরপর পরিস্থিতি আরও শান্ত ও সুন্দর হয়ে যাবে।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।

অন্যদিকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ভোটের মাঠে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করবে সশস্ত্র বাহিনী। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৮ দিন মাঠে থাকবে তারা।

সারাদেশে নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা হচ্ছে। ‌পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সব সময় মনিটর করছেন। যাকে মনে করছেন বদলাতে হবে, আমাদের কাছে লিস্ট পাঠাচ্ছেন, তাৎক্ষণিক তাকে পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। এটা নির্বাচন কমিশন সব সময় করে থাকে, সেই অনুযায়ী করে দেওয়া হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন আসলে একটা উত্তেজনা, আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যার যার প্রার্থীকে জয়ী করতেই হবে, এরকম একটা ভাব চলে আসে প্রার্থী ও সমর্থকদের। সেই সময় বাক-বিতণ্ডা ও একটা কিছু হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত সব কিছু নজরদারিতে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। ভবিষ্যতে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। দু'একটি ঘটনা যে ঘটে গেছে, জড়িতদের চিহ্নিত করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। 'আগামী ২৯ ডিসেম্বর মাঠে বিজিবি চলে আসবে, বিজিবির পর আবার সেনাবাহিনীও চলে আসবে। কাজেই যে সমস্ত বিষয়ে আপনারা আশঙ্কা করছেন, কিংবা যা দেখছেন সেই পরিস্থিতি আরও শান্ত হয়ে যাবে, আরও সুন্দর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে তাদের প্রার্থীরা বেশি আচরণবিধি লঙ্ঘণ করছেন কিনা- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘নির্বাচন আসলে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীরা তাদের প্রার্থীকে পাস করানোর জন্য হয়তো অনেক কিছু করে ফেলে। প্রার্থীরা নিজেরাও হয়তো জানেন না, এমন ঘটনাও ঘটে। বিশেষ করে নতুন যারা আসছেন তাদের মধ্যে আচরণবিধি ভাঙ্গার হার অনেক বেশি।‌’

এবার মাঠে সেনাবাহিনী ১৩ দিন থাকছে। এটার কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, এটার কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। যে ধরনের সহিংসতা একটি দল করছে নির্বাচন বানচাল করার জন্য। তারা নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। এদেশের মানুষ সেগুলো বিশ্বাস করে না। আমাদের নির্বাচন কমিশনার তাও নির্বাচনকে আরো নিরাপদ করার জন্য এই ব্যবস্থাটা নিয়েছে।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে- এ বিষয় জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এমন কোন তথ্য আমার জানা নেই।‌ পুলিশ পাঠিয়ে থাকতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই ধরনের কিছু আসেনি।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা সব সময় একটা অ্যাসেসমেন্ট করে থাকেন। অনেক সময় একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে পুলিশের যেতে সময় লাগে, সেই সমস্ত জায়গায় হতে পারে, সেটা আমার জানা নেই। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র আছে কিনা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন সেটা জানতে চায়। সেই তালিকা নিয়ে তারা সব সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

পরে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অবহিত হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা চাচ্ছেন।‌ পুলিশ এটা চূড়ান্ত করলেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ঝুকিপূর্ণ মানুষ বা কেন্দ্র আছে কিনা- সেটি তারা জানতে চেয়েছেন। পুলিশ আজকের মধ্যেই করে ফেললে সেটি সন্ধ্যার মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ৭ প্রস্তাব
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা
এনসিপিকে শাপলার বিকল্প প্রতীক নিতে চিঠি দেবে ইসি
শর্ত পূরণ করেছে এনসিপিসহ দুটি দল: ইসি
স্ত্রীসহ সাবেক এমপি আলী আজমের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
ফ্যাসিস্ট শক্তি মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন আজ
দূষিত বায়ুর তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়
আজ বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
বাংলাদেশে হিন্দুবিদ্বেষী কোনো সহিংসতা নেই: প্রধান উপদেষ্টা