চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে নভেম্বর সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৪২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রফতানি হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে বৈশ্বিকভাবে ২০২৩ সালটি পোশাক খাতের জন্য ২০২২ সালের মতো অতটা ভালো ছিল না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তথ্যের বরাতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৫৭৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। তবে সেই প্রবণতা ২০২৩ সালে কিছুটা কমার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ইতোমধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার পোশাক আমদানি কমেছে।
বিজ্ঞতিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস সময়ে ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ২৮ শতাংশ। যেখানে আমেরিকার বাজারে রফতানি কমেছে ৯ শতাংশ। অর্থাৎ সার্বিক মূল্যায়নে দেশের প্রধান দুটি বাজারে রফতানি খুব একটা বাড়েনি। অপরদিকে অপ্রচলিত বাজারে রফতানি বেড়েছে ২২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধির কল্যাণেই আমাদের সার্বিক রফতানিতে এখনও কিছুটা প্রবৃদ্ধি বজায় আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে মহিউদ্দিন রুবেল জানান, ২০২৪ সালটি কেমন যাবে এটি বলা কঠিন। একদিকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় যায় সেটি আমাদের দেখতে হবে। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সরবরাহ ব্যবস্থা, মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য বিষয়। সেই সঙ্গে আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতেও কিছু চাপ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নিম্নমুখী ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, আবার শিল্পখাতগুলোকেও সুরক্ষা দিতে হবে যেন বিনিয়োগ আসে আর আমরা প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে। ২০২৪ সালের এ সার্বিকভাবে আমরা একটু চাপের মধ্যেই থাকব। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়বে বলে আমরা ইঙ্গিত পাচ্ছি। আমরা যদি অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে পারি আর নতুন পণ্য ও বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে পারি, তাহলে কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারব।