আনুষ্ঠানিক চলাচলের এক বছর পূর্ণ করলো দেশের প্রথম মেট্রোরেল। যানজট থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর চালু হয় আকাঙ্ক্ষিত মেট্টোরেল। যদিও এখনও সবগুলো স্টেশন চালু হয়নি। এখনও পূরণ হয়নি ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচল। এছাড়া কাজ চলছে বাড়তি সোয়া এক কিলোমিটারের। তবুও গত এক বছরে মেট্টোরেল রাজধানীবাসীকে যাতায়াতে স্বস্তি দিয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই উত্তরা-মতিঝিল রুটে পূর্ণমাত্রায় যাত্রা শুরু হবে মেট্টোরেলের। এটি শুরু হলে আরও সহজ হবে যাতায়াত।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, সবগুলো স্টেশন চালু করার পর প্রথম ৩ মাসে সেবা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দেয়া হবে। তার পরের ৩ মাসে ধীরে ধীরে মেট্রো চলাচলের সময় বাড়ানো হবে। তখন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে।
গত বছর ঢাকায় চলাচল শুরু করে দেশের প্রথম মেট্রো। পরের দিন থেকে শুরু হয় বাণিজ্যিক যাত্রা। শুরুতে সকালে চার ঘণ্টা মেট্রো চলে আগারগাঁও পর্যন্ত। এরপর স্টেশনের সংখ্যার সাথে বাড়তে থাকে চলাচলের সময়সীমাও। যাত্রা শুরুর ছয় মাসের মধ্যেই এই অংশের সবগুলো স্টেশন থেকে দিনে ১২ ঘণ্টা সেবা দিতে শুরু করে বৈদ্যুতিক এই বাহনটি। আর প্রথম দিন থেকেই মেট্রো ছিল আগ্রহের কেন্দ্রে। ধীরে ধীরে দর্শনার্থী কমে বাড়তে থাকে নিয়মিত যাত্রী।
এদিকে চলতি বছরের ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন হয় মেট্রোর। এখন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে সময় লাগছে আটত্রিশ মিনিট। যদিও কারওয়ানবাজার এবং শাহবাগ স্টেশন দুটোর কাজ এখনও কিছু বাকি।
জানা গেছে, নতুন বছরের শুরুতেই চালু হবে দুটি স্টেশন। তারপর বাড়বে চলাচলের সময়। চার মিনিট পর পর ২০ সেট ট্রেন চলবে উত্তরা থেকে মতিঝিল ২০ কিলোমিটার রেল ট্র্যাকে। পূর্ণ মাত্রায় চালু হলে ঘণ্টায় ষাট হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে।
ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এই দুটি স্টেশন চালুর পর মেট্রো চলাচলের প্রক্রিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন এনে আমরা এই অংশটির সময় বৃদ্ধি করবো।
শুরুতে মেট্রোরেলের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।