কারণ এই সময় আবহাওয়া অনেক বেশি শুকনো থাকে। একই সঙ্গে দূষণ বাড়ে। যে কারণেও চুলে বেশি ময়লা জমে, গোড়া চুলকোতে থাকে। অনেকেই এই সময় পার্লারে গিয়ে ড্যানড্রফ ট্রিটমেন্ট করান। আবার শীতের দিনে ঠান্ডার কারণে স্নানেও অনীহা থেকে যায়। যে কারণে শ্যাম্পু করতে ভয় পান অনেকে তবে শীতের দিনে এভাবে শ্যাম্পু করলে চুল ভাল থাকবেই আর ঝরে পড়ার সমস্যা অনেকটাই কমবে। পাশাপাশি চুল নরম হবে, উজ্জ্বল হবে। এর পর আর আলাদা করে কন্ডিশনারেরও প্রয়োজন পড়বে না।
ভাতের মাড় না ফেলে রেখে দিতে হবে। ছোট একবাটি ভাতের মাড়ের মধ্যে বড় দু চামচ শ্যাম্পু মিশিয়ে নিতে হবে। চুল যতটা লম্বা সেই মতো শ্যাম্পু মেশাবেন। এবার এতে অর্ধেক লেবুর রস মেশান। এই লেবুর রসে খুশকি দূর হয়ে যায়। এক চামচ মধুও মেশাবেন। সব কিছু খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার তা চুলে লাগিয়ে খুব ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। একবার খুব ভাল করে ধুয়ে নিয়ে হালকা করে মুছে আবারও এই শ্যাম্পু ভাল করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। চুল এবার তোয়ালে দিয়ে ভালো করে মুছে নিন।
এবার সিরাম বানিয়ে নিতে হবে। ২ চামচ পানি , হাফ চামচ নারকেল তেল, ১০ ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ভালো করে সিরাম বানিয়ে নিন। আধ শুকনো চুলে এই সিরাম লাগিয়ে নিতে হবে। এতে শীতেও চুল থাকবে ম্যানেজেবল। আর এতে চুল ভালো থাকবে।
ড্রাই হয়ে যাবে না। সিরাম সব সময় আধশুকনো চুলে লাগাবেন। কখনই সম্পূর্ণ শুকনো চুলে লাগাবেন না। এভাবে সিরাম লাগিয়ে নিয়ে চুলে একটা সুন্দর শাইন থাকে। এতে চুল সুন্দর থাকে। শীতের দিনে এভাবে চুলের যত্ন নিলে পার্লারে অতিরিক্ত ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন পড়বে না আর খুশকির সমস্যাও দূর হবে।