সুস্থ থাকতে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে লাগাম টানতে বলা হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। টাটকা সব্জি, ফলমূল খাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বীজ, বাদামও খেতে বলেন তাঁরা। তার মধ্যে কাঠবাদামের গুরুত্ব বেশি। রূপচর্চার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণেও কাঠবাদামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কাঠবাদামের মধ্যে যে ধরনের ফ্যাট রয়েছে তা বাড়তি মেদ ঝরাতে পারে। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ফ্যাটি অ্যাসিড, শরীরে উপস্থিত ভিটামিন এ, ডি, ই, কে শোষণে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বিপাকহার উন্নত করতে পারে কাঠবাদামের তেল। তার জেরেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই রোজকার খাবারে অন্যান্য তেলের পরিমাণ কমিয়ে কাঠবাদামের তেল যোগ করলে উপকারই হবে। এ ছাড়া কাঠবাদামের তেল খাওয়ার আর কী কী উপকার রয়েছে?
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে কাঠবাদামের তেল। শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন, বিভিন্ন উৎসেচক এবং ভিটামিন ডি-র উৎপাদন এবং ক্ষরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ভাল কোলেস্টেরল। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি ঠেকিয়ে রাখা যায়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
কাঠবাদামের তেল রক্তে বাড়তে থাকা শর্করাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ‘নিউট্রিশন অ্যান্ড মেটাবলিজ়ম’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তথ্যটি। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনার পাশাপাশি খাবারে কাঠবাদামের তেল যোগ করতে পারলে রক্তে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখা যায়।
এমআই