ইংরেজি নতুন বছর বরণে বিশ্বের নানা প্রান্তে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। জমকালো আয়োজন আর বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে বিশ্ববাসী। এজন্য বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী সব স্থাপনা সাজানো হয়েছে ঝলমলে আলোকসজ্জায়। নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাদ্ধম নিউ ইয়র্ক টাইম্স এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এরইমধ্যে প্রস্ততি শেষ হয়েছে সিডনি হারবার, টাইমস স্কয়ারের মতো আলোচিত বর্ষবরণ ভেন্যুগুলোয়। ভৌগোলিক কারণে সবার আগে ২০২৪ সালকে স্বাগত জানাবে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
যুক্তরাজ্যে বছরের প্রথম প্রহরে সবচেয়ে বড় আতশবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে লন্ডনে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বরাবরের মতোই নতুন করে সাজানো হয়েছে ‘টাইমস স্কয়ার বল’।
২০২৪ সালকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত লাতিন দেশগুলোও। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনার পাশাপাশি শুরু হয়ে গেছে কার্নিভ্যাল। আলোকসজ্জায় সাজানো হলেও রাশিয়ার শহরগুলোয় এবছরও হবে না আতশবাজি। উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে ইউরোপের দেশগুলোয় সর্বোচ্চ নজর দেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে নতুন বছরকে সবার আগে স্বাগত জানাবে প্রশান্ত মহাসাগরের টোঙ্গা, সামোয়া ও কিরিবাতি দ্বীপের বাসিন্দারা। তারপর নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানবাসী নতুন বছরকে বরণ করবে। নতুন বছরকে বরণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ার সাজানো হয়েছে আলোকসজ্জায়। বিশেষ করে ক্রিস্টাল বলে ক্ষণ গণনা করতে উন্মুখ হাজারো মানুষ।
যুক্তরাজ্যেও চলছে বর্ণিল আয়োজনের প্রস্তুতি। প্রতিবারের মতো এবারও থার্টিফাস্টের রাতে টেমস নদীর উপরে থাকবে আতশবাজির উৎসব।
দুবাইয়ের বিভিন্ন এলাকার ৩২টি জায়গায় জমকালো আতোশবাজির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও চীন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, কানাডা, রাশিয়াসহ ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন ও নতুন বছর বরণে চলছে নানা আয়োজন।