অন্তত ৫ ম্যাচ খেললে আগের ১৭ বছরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে যেখানে কখনই সাফল্যের হার ৫০ শতাংশের উপরে যায়নি, সেখানে চলতি বছর ১৪ ম্যাচ খেলে ১০টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। যেখানে সাফল্যের হার ৭১ শতাংশ।
অবশ্য এই তিন ম্যাচের মধ্যে এশিয়ান গেমসে খেলা তিন ম্যাচের রেকর্ডও যুক্ত আছে। মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারানো বাংলাদেশ ওই আসরে হারে ভারতের কাছে।
মূল দলের খেলাতেও সাফল্য নিজেদের অতীতের বিচারে চমকপ্রদ। মার্চে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করে বসে বাংলাদেশ। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-০ এবং কিউইদের বিপক্ষে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতার সুখস্মৃতি আছে চলতি বছর।
টি-টোয়েন্টিতে ২০২৩ সালের চেয়ে বেশি জয় আছে ২০২১ সালে। সেবার ১১ ম্যাচ জিততে খেলতে হয়েছিল ২৭ ম্যাচ, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ওই বছরই খেলেছে বাংলাদেশ। তবে ২৭ ম্যাচে ১১ জয়ের বিপরীতে আছে যে ১৬ পরাজয়, সাফল্যের হার ৪০ শতাংশ।
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের। সেই বছর ছিলো একটাই ম্যাচ। এটা বাদ দিলে কমপক্ষে ৫ ম্যাচ খেললে বেশিরভাগ ম্যাচ হারতে হয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।
১৫৫ টি টি-টোয়েন্টি খেলে তাই ৯৪ ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। সাফল্যের হার ৩৭ শতাংশ। টি-টোয়েন্টিতে নতুন দিন আনতে হলে এই পরিসংখ্যান করতে হবে ভদ্রস্থ। নিউজিল্যান্ডে কখনো সাদা বলের সংস্করণে জিততে না পারা নাজমুল হোসেন শান্তরা এবার ওয়ানডেতে পেয়েছেন জয়। টি-টোয়েন্টিতেও একপেশে পরিসংখ্যান বদলেছেন।
আসছে ২০২৪ সাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর। বছর জুড়ে তাই ম্যাচ আছে অনেক। নতুন আদলের বাংলাদেশ তাতে কেমন করে দেখার বিষয়।
অর্থসংবাদ/এমআই