মাধ্যমিকের চেয়ে প্রাথমিকে বাৎসরিক ছুটি কম রাখায় চরম অসন্তোষ জানান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। এরপর ছুটি বাড়িয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
নতুন ছুটির তালিকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতোই প্রাথমিক বিদ্যালয়েও বছরে ৭৬ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। ছুটি বাড়ানোয় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নতুন ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এ তালিকায় ২৮ ডিসেম্বর সই করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ অন্য কর্মকর্তারা।
আগের ও পরের ছুটির তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রথম তালিকায় মোট ছুটি ছিল ৬০ দিন। সেই ছুটি বাড়িয়ে ৭৬ দিন করা হয়েছে। পবিত্র রমজান, বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শব-ই-কদর, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষসহ টানা ২১ দিন ছুটি ছিল প্রথম তালিকায়। সেখানে ছুটি বাড়িয়ে ২৯ দিন করা হয়েছে।
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি ৭ দিন থেকে বাড়িয়ে ১৪ দিন, দুর্গাপূজার ছুটি ৫ দিনের জায়গায় ৭ দিন করা হয়েছে। এছাড়া শীতকালীন অবকাশ একদিন বাড়িয়ে ১১ দিন করেছে অধিদপ্তর।
অন্যদিকে ২০ জুলাইয়ের আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ২ অক্টোবরের শুভ মহালয়ার একদিন করে দুটি ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ১৬ দিনের ছুটি সমন্বয় করে মাধ্যমিক ও প্রাথমিকে ৭৬ দিন বাৎসরিক ছুটি রেখে তালিকা প্রকাশ করেছে অধিদপ্তর।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মু. মাহবুবর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে ছুটির তালিকায় সমন্বয় করেছে। এতে আমরা ভীষণ খুশি। অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সব কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।