বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার জামিন আবেদনটি জমা দেন নিক্সন চৌধুরীর আইনজীবীরা।
আগামী মঙ্গলবার নিক্সন চৌধুরীর জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন রাখা হয়েছে।
আদালতে নিক্সন চৌধুরীর জামিন আবেদনটি দাখিল করেন তাঁর আইনজীবী শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মনজুর আলম।
পরে মনজুর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মামলায় নিক্সন চৌধুরীর আগাম জামিন চেয়ে করা আবেদনটি আজ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।’
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, গালিগালাজ ও হুমকির অভিযোগে স্বতন্ত্র সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার মামলা করে নির্বাচন কমিশন।
চরভদ্রাসন থানায় মামলাটি করেন জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম। মামলার বাদী নওয়াবুল ইসলাম চরভদ্রাসনের ওই উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাংসদ নিক্সন চৌধুরী ৯ অক্টোবর সকালে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে ফোন করে নির্বাচনে অধিকসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অধিকসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের কারণে তাঁর সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হলে মহাসড়ক অবরোধ করাসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখান ও অশোভন মন্তব্য করেন। এ ছাড়া নির্বাচনের দিন আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ভাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক ব্যক্তিকে আটক করেন। এ ঘটনায় সাংসদ ইউএনওর মুঠোফোনে তাঁকে ও সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে অত্যন্ত অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখান। তা ছাড়া সাংসদ নিক্সন চৌধুরী নির্বাচনী এলাকায় উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী কার্যকলাপে অংশ নিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে এই এজাহার লিখে পাঠানো হয়েছে। তিনি স্বাক্ষর করেছেন মাত্র। এজাহারে সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, গালিগালাজ ও হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।