আসন্ন রমজানে প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে নগদ ন্যূনতম মার্জিন রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশের সব ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মতো। খেজুর, ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা এবং চিনি এই পণ্য তালিকা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনা দিয়ে বলছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যসমূহের সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার প্রদানের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি আরেক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক এই আট পণ্য বাকিতে আনারও সুযোগ দেয়। অপরদিকে বৈদেশিক মুদ্রার চাপে থাকার মধ্যে গত ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডলার সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি করছে। বিলাসসহ তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণে নগদ মার্জিন বাড়িয়ে শতভাগ করা হয়।
তখন ব্যাংক জানিয়েছিলো, ১০০ শতাংশ ও ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিনে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র স্থাপনের বিপরীতে প্রয়োজনীয় মার্জিন গ্রাহকের নিজস্ব উৎস থেকে গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ এসব পণ্য আমদানিতে ব্যাংক কোনো প্রকার অর্থায়ন করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
তবে শিশুখাদ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সরঞ্জামসহ আরও কিছু পণ্য আমদানিকে এর বাইরে রাখা হয়।
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                