সোমবার (১৯ অক্টোবর) বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট শেখ কবীর হোসেন, সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টুসহ নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীরা অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও আইডিআরএ সদস্য মো. দলিল উদ্দিন ও মইনুল ইসলাম এবং সাধারণ বীমা শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বাধীন নন লাইফ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে আইডিআরএর প্রথম সভা ছিলো এটি।
সকল নন-লাইফ কোম্পানির ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদন অর্থাৎ অডিট করা হবে। এতে সকল বীমা কোম্পানির এমডি ও চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করতে হবে।
আইডিআরএ’র দুটি বিষয়ই পরিপালনে সহমত প্রকাশ করেছেন ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান-এমডিরা।
দেশের সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সক্ষমতা বেড়েছে উল্লেখ করে বৈঠকে বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবীর হোসেন প্রস্তাব করেন, এখন থেকে দেশের সকল বীমা কোম্পানিকে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে শতভাগ পুনঃবীমা করার বিধান করতে হবে। এ সময় তিনি আলাদা প্রাইভেট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি গঠনের আহ্বান জানান।
বর্তমানে ৫০ শতাংশ পুনঃবীমা সাধারণ বীমার সাথে করতে হয় আর বাকি ৫০ শতাংশ পুনঃবীমা ইচ্ছে করলে বিদেশি কোম্পানির সাথে করতে পারে বীমা কোম্পানিগুলো। এতে দেশের সম্পদ বিদেশে চলে যাচ্ছে।
দেশের বীমা সেক্টরে উন্নয়নে দ্রুত এই কাজগুলা করার দরকার বলে মনে করেন বীমা কোম্পানিগুলোর এমডি-চেয়ারম্যানরা।
বৈঠকের বিষয়ে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, বীমা কোম্পানিগুলো কমিশন ফি ও ম্যানেজমেন্ট ব্যয় বাবদ নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে না। এতে স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানিগুলোর আয় বাড়বে এবং লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতাও বাড়বে।
তিনি বলেন, এক সময় কোম্পানিগুলো ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমিশন দিতো। এখন নতুন আইনের কারণে ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন দিতে পারবে না। অন্যদিকে কোম্পানিগুলোকে ম্যানেজমেন্ট ব্যয় বাবদ খরচ কমাতে বলা হয়েছে। এতে কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত ব্যয় কমে যাবে এবং মুনাফা বাড়বে। আর মুনাফা বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ বেশি দিতে পারবে।
ড. এম মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, এই আয় যাতে কোম্পানির হিসেবে আসে সেটা বলেছি। আসলে স্বাভাবিকভাবেই শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বাড়বে। সব বিবেচনা করে কোম্পানিগুলো যেন ন্যূনতম ২০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিতে পারে সেজন্য তাদের উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দিচ্ছে। তাদেরকে অতিরিক্ত ব্যয় নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনার মাধ্যমে বেশি হারে লভ্যাংশ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।