আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নতুন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আইএলওর প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ এবং মোকাবিলা’। প্রতিবেদনটি ‘পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ)’ সংক্রান্ত গবেষণা প্রকল্পের অংশ। যৌথভাবে এর অর্থায়ন করেছে ইউরোপীয় কমিশন এবং আইএলও।
আজ বুধবার জেনেভায় আইএলও সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল নিয়ে আলোচনা হবে বলে জাতিসংঘের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ) ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে শ্রম আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মর্যাদা উন্নীত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যনীতি ২০১৩ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ গঠন করেছে। শ্রম আইনের ১০৯ ধারা কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষা প্রদান করে। এই আইন বলছে, সম্মতি ছাড়া কোনো নারীকে রাতে কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না। কর্মক্ষেত্রে কোনো নারীর শালীনতা বা সম্মান আঘাত করা হয় এমন কোনো আচরণ থেকে বাধা দেই এই আইনের ৩৩২ ধারা।
প্রতিবেদনটিতে শ্রম আইনে পরিবর্তনের ফলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও নির্মূলে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে প্রশংসা করা হয়েছে। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগ সরকারি-বেসরকারি সকল কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যৌন হয়রানি সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে।
পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কাঠামো কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর উপায় হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে বলে আইএলওর ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                