ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চা মিয়া বলেন, দাফনের সময় জীবিত বেঁচে ফেরা শিশু মরিয়ম রাত বুধবার (২১ অক্টোবর) ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে মারা গেছে। গত পাঁচ দিন ধরে সে হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর স্ত্রী শাহিনুরকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করান স্বামী ইয়াসিন মোল্লা। ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া শাহিনুর ১৬ অক্টোবর ভোরের দিকে স্বাভাবিকভাবে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। তবে জন্মের পরপরই ওই নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মৃত্যুর সনদে চিকিৎসকরা জানান, নবজাতকটি মৃত অবস্থাই জন্ম নিয়েছেন। পরে ওই নবজাতককে একটি প্যাকেটে ভরে তার বাবা ইয়াসিন দাফনের জন্য আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান। কবরস্থানের লোকজন দাফন কাফন বাবদ ১ হাজার ৪শ’ টাকা দাবি করলে, টাকা না থাকায় নবজাতককে বসিলা কবরস্থানে নিয়ে যান তিনি। সেখানে ৫০০ টাকা ফি ও বকশিশ দেওয়ার পর মৃত নবজাতকটির জন্য কবর খোঁড়া শুরু হয়। কবর খোঁড়ার এক পর্যায়ে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। তিনি আশপাশে কোথাও কিছু না পেয়ে পরে পাশে রাখা নবজাতকটির দিকে খেয়াল করেন। এরপর প্যাকেট খুলে দেখেন শিশুটি নড়াচড়া ও কান্নাকাটি করছে। পরে দ্রুত আবার তাকে ঢামেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তিনি।