শনিবার সকালে আগুনমুখা নদী থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন।
এ ঘটনায় নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে; তারা হলেন- রাঙ্গাবালী থানার কনস্টেবল মহিবুল হক (৪৫)। তিনি বাকেরগঞ্জ থানার জিরাইল গ্রামের মৃত রহমানের ছেলে। কৃষি ব্যাংক রাঙ্গাবালীর বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫)।
তিনি পটুয়াখালী থানার আউলিয়াপুর এলাকার আবদুস সালাম হাওলাদারের ছেলে, এনজিও আশার রাঙ্গাবালীর খালগোড়া শাখার ঋণ অফিসার কবির হোসেন (৩০)। তিনি বাউফলের কাশিপুরের লক্ষ্মীপাশা গ্রামের সাজাহান সিকদারের ছেলে, রাঙ্গাবালীতে সড়ক নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত পটুয়াখালীর ময়দান মাদ্রাসা এলাকার রহিম হাওলাদারের ছেলে হাসান (৩৫) ও একই কাজে কর্মরত বাউফল থানার জয়গোড়া এলাকার মৃত আলম হাওলাদারের ছেলে ইমরান (৩৪)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান ও রাঙ্গাবালী থানার ওসি আলী আহমেদ। তারা বলেন, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। সুরতহাল করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া থেকে পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট আগুনমুখার মাঝামাঝি গিয়ে ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে ১৭ জন যাত্রী ও চালক ডুবে যান।
এতে চালকসহ ১৩ যাত্রী জীবিত উদ্ধার হলেও ৫ জন নিখোঁজ ছিলেন। তাদের মরদেহ আজ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে।