গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারটি সর্বশেষ ৭৫৫ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি হয়। গত শনিবার এই কোম্পানির বোর্ড মিটিংয়ে ২০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার পর রোববার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৬৮৮ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ দাম কমেছে ৬৭ টাকা ২০ পয়সা।
জানা যায়, চলতি বছরে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে বাজারে শেয়ার ছাড়ে। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের বিপরিতে বিনিয়োগকারীরা ২০ টাকা পাবেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ২০ টাকা পেলেও উদ্যোক্তারা পাবেন ৭ টাকা বা ৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ।
এদিকে তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানি হিসেবে ২০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করার পরও এই শেয়ারে ক্রেতাদের আগ্রহ কম থাকায় কিছুটা মিশ্র পতিক্রিয়া দেখা গেছে বাজারে। সংশ্লিষ্টরা ইতিবাচক-নেতিবাচক উভয়ই ভাবছেন।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ২১ পয়সা এবং চলতি বছরের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬৪ টাকা ৪৮ পয়সা।
কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম)আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৯৯ দশমিক শূণ্য ৩ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে মাত্র দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার।
কোম্পানিটির বর্তমান বাজার মূলধন ২২ হাজার ৮৯৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর রিজার্ভের পরিমাণ ৬ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা।