রবিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল 'সংসদ সদস্য' স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়ি। এরপর নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এসময় হাজী সেলিমের গাড়ী থেকে দুই জন ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর করে। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন।
পুলিশ সূত্র মতে, ঘটনার সময় সাংসদ হাজী সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তাঁর ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।
মারধরের কারণে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম বেশ আহত হন। সাথে থাকা তার স্ত্রীর গায়েও হাত দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ওয়াসিম তার স্ত্রীর বই কিনে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন। গাড়ীতে হাজী সেলিমের ছেলে ও তার নিরাপত্তাকর্মীসহ কয়েকজন ছিলেন বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যায়। সেখানে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমের মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ভিডিওটিতে দেখা ও ধানমন্ডি থানার সামনে থাকা জব্দকৃত হাজী সেলিমের গাড়ির নম্বর ছিল ঢাকা মেট্টো– ঘ ১১-৫৭৩৬। গাড়ী চালককেও থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ওই সময় গাড়ীতে ছিলেন না। বেশ কয়েক বছর ধরে গলায় সমস্যা থাকার কারণে তার কথা বলতে সমস্যা হয়।