১৫ অক্টোবর যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে বরগুনা জেলা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য এ তারিখ ঘোষণা করেন।
রায়ের তারিখ ঘোষণার আগে চার্জশিটের ৭৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
শিশু আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন দাবি করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. শাহজাহান দাবি করেন তার আসামিরা নির্দোষ। আদালতের রায়ে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হবে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামি হলেন- রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, মো. আবু আবদুল্লাহ রায়হান, মো. ওলিউল্লাহ অলি, জয় চন্দ্র সরকার চন্দন, মো. নাইম, মো. তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ, মারুফ মল্লিক, প্রিন্স মোল্লা, রাতুল সিকদার জয় ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।
গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই দিন বিকেলে তিনি মারা যান।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২৭ জুন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
১ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নিসহ ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনসহ মোট ২৪ জনের নামে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।