ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, গত ১৫ বছরে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সামগ্রিক চিত্র পাল্টে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে পুরোপুরিভাবে বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তনকে শুধু ‘উন্নয়ন’ শব্দের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এটা একটা পরিবর্তন, এটা একটা সম্পূর্ণভাবে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার বংশালের সুরিটোলা সরকারি মডেল বিদ্যালয় মাঠে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সাঈদ খোকন বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৯৩ মার্কিন ডলার। বর্তমান সরকারের সময়ে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৭৩৫ মার্কিন ডলারে। এই হচ্ছে পরিবর্তন। আজকে দেখবেন পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেলের মতো উন্নয়ন। চারদিকে এমন বহু উন্নয়ন এখন দেখতে পাবেন যা এক সময় মানুষ চিন্তাও করতে পারতো না।
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে চলে আসবে জানিয়ে সাবেক এই মেয়র বলেন, বর্তমানে কিছু জিনিসপত্রের দাম মাঝেমধ্যে বেড়ে যাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন এই বিষয়টা মনিটর করছেন, কীভাবে এই জিনিসপত্রের দাম আমাদের নাগালের মধ্যে রাখা যায় তা নিয়ে তিনি দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আপনারা কয়েকটা দিন সময় দেন ইনশাআল্লাহ দ্রব্যমূল্য আপনাদের নাগালের মধ্যে চলে আসবে। এই কষ্ট যাতে কিছুটা কম হয় সেজন্য আমরা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও আমার সাধ্যানুযায়ী আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
এই সংসদ সদস্য বলেন, আল্লাহ রব্বুল আলামিনের মেহেরবানিতে এবং আপনাদের দোয়ায় ও ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সাহায্য এবং সহযোগিতায় আগামী দিনগুলোতে এই কার্যক্রম ব্যাপকভাবে পরিচালিত করতে পারব। আমি যখন আপনাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করতে গিয়েছি তখন এই কথা দিয়েছিলাম, আমি আমার কথা রাখব ইনশাআল্লাহ।
এদিন ঢাকা-৬ আসনের আওতাধীন ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুইশ পরিবারের মধ্যে মিনিকেট চাল ১০ কেজি, পোলাওর চাল ২ কেজি, সয়াবিন তেল ২ লিটার, সরিষার তেল ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ ২ কেজি, আলু ৫ কেজি, ঘি ১০০ গ্রাম, সেমাই এক প্যাকেট, ছোলা বুট এক কেজি, খেজুর ২৫০ গ্রাম, চিনি ১ কেজি, লবণ ১ কেজি, লাক্স সাবান ১টি, দুধ ২০০ গ্রাম, মসুরের ডাল ১ কেজি, মুড়ি ১ কেজি, ডাবলি ১ কেজি, মটরের ডাল ১ কেজি, বেসন ১ কেজিসহ মোট ৩১ কেজির বস্তা বিতরণ করা হয়।
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                