সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ দুর্ঘটনায় কারো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে বগি তিনটি উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
কোটচাঁদপুরের স্টেশন ম্যানেজার গোলাম মোস্তাফা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পার্বতীপুর থেকে তেলবাহী ট্রেন ও যশোর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন দুইটি সিগনাল অমান্য করে একই লাইনে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিকট শব্দে দুইটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইঞ্জিনসহ পাঁচটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার লাইনচ্যুত হয়। ট্যাঙ্কার লাইন থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ ডিজেল এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চালকের অসর্তকতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সঠিক তথ্য জানার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তারা অলরেডি মাঠে নেমে তদন্ত কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর দমকল বাহিনীর সদস্যরা রাতেই সেখানে অবস্থান নেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা।