মানবিক কারণে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আলোচনা চলছে। আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়া করতে যাইনি। আলোচনার মাধ্যমেই আমরা এই সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করে যাচ্ছি বলে জানিয়েছে করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর পিলখানা সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদক, নারী-শিশু পাচার রোধসহ বিভিন্ন কাজ বিজিবি অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করে যাচ্ছে। আমাদের দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী হলো বিজিবি। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে যখনই কোনো সমস্যা হয়, সেই অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানান ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তখনও বিজিবির সদস্যরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জানমাল রক্ষায় ভূমিকে রেখেছে।
তিনি বলেন, বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আজকে যারা বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এভাবেই আপনারা দক্ষতার পরিচয় দেবেন। যেন আমরা এই পদক আরও বেশি বেশি দিতে পারি। শৃঙ্খলা একটি বাহিনীর মূল চালিকাশক্তি। কখনও শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় বিজিবি সদর দপ্তরের বীরউত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিজিবি সদস্যদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি।
বিজিবি দিবসের এ অনুষ্ঠানে বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭২জন বিজিবি সদস্যকে পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন সরকারপ্রধান।
কাফি
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                