জানা যায়, দর্শনার্থীদের আধুনিক ও বিশ্বমানের চিড়িয়াখানা উপহার দিতে ২০১৫ সাল থেকে কয়েক দফায় মাস্টারপ্ল্যান করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। সবশেষ ২০২১ সালে পরিকল্পনা করা হলেও তা আর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। আবার তিন বছর পরে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে অধিদপ্তর।
নতুন পরিখল্পনায়, জাতীয় চিড়িয়াখানাকে আন্তর্জাতিক আদলে গড়ে প্রাণীদের বিচরণের জন্য খাঁচার বদলে থাকবে বন্য পরিবেশ। ঘন গাছপালার পাশাপাশি জলজ প্রাণীর জন্য থাকবে হ্রদ। দৃষ্টিনন্দন এই পরিবেশ গড়ে তুলতে এবার খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, মাস্টারপ্ল্যানের বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে রিভিশন হয়েছে। রিভিশনের একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, এটা একটি প্রকল্প নয় বরং বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার জন্য একটি প্রকল্প এবং রংপুর চিড়িয়াখানার জন্য আলাদা একটি প্রকল্প হবে। দুটি আলাদা প্রকল্পের মাধ্যমে এই দুই চিড়িয়াখানাকে আধুনিকায়ন করা হবে। সেভাবেই ডিপিপি সাজানোর কাজ চলছে।
প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দেড় হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে বলে জানান জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক।
দেশে ১৯৬৪ সালে হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে প্রথম চিড়িয়াখানা হয়। এরপর ১৯৭৪ সালে মিরপুরে ২১৩ দশমিক ৪১ একর জায়গায় চিড়িয়াখানা স্থানান্তর হয়। যদিও পরে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধের জন্য ৬ দশমিক ৬৫ একর, কেন্দ্রীয় মুরগির খামারের জন্য ২০ দশমিক ১৩ একর জায়গা ছেড়ে দেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এখন ১৮৬ দশমিক ৬৩ একর জায়গায় রয়েছে চিড়িয়াখানাটি।
এমআই
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                