বর্তমানে কাটিনাল জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৪ টাকা। দেশী গুটি জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৬ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩০-৩২ টাকা। সরকারিভাবে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাজারে সে দামে আলু পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অধিকাংশ কৃষক তাদের উৎপাদিত আলু বাজারে বিক্রি না করে মজুদ করে রাখছেন। ফলে মোকামগুলোয় সরবরাহ কমে দাম বাড়ছে। এছাড়া ভারত থেকে আমদানীকৃত আলুর দাম বেশি, স্বাদও কিছুটা কম। ফলে আমদানি অব্যাহত থাকলেও দামে প্রভাব পড়ছে না।’
হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক সাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের বাজারে আলু সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। আমদানিকারকরা ৩ ফেব্রুয়ারি আমদানি শুরু করেন। ভারত থেকে বন্দর পর্যন্ত আমাদের পড়তা পড়ছে কেজিতে ২৭-২৮ টাকার মতো।
তিনি আরো জানান, ভারত থেকে আমদানির খবরে দেশী আলুর দাম কমে কেজিপ্রতি ২০ টাকায় নেমে গিয়েছিল। এতে আমদানি করে লোকসানের মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা। ফলশ্রুতিকে চারদিন পরই আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি পণ্যটির দেশীয় বাজার ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠায় আবারো আমদানি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘এক মাস বন্ধের পর ৯ মার্চ আবারো ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্দর দিয়ে তিনদিনে সাত ট্রাকে ১৫৬ টন আলু আমদানি হয়েছে।’
অর্থসংবাদ/এমআই
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                