সিআইডি নারায়ণগঞ্জ অফিসের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল গফুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে সিআইডির হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে গাফিলতি ও অবহেলার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে তাঁকে বিভিন্ন সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল।
সিআইডির কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আরও বলেন, এ পর্যন্ত এই মামলায় তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি ও স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রিসহ মোট ১২ জনকে আটক করা হয়। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ ও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা সম্ভব হবে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি ও মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত অপরাধে মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।