নিজের নাম ছাপিয়ে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা ও সম্মান পেয়েছিলেন বন্ড সিরিজের প্রথম অভিনেতা। একটি অস্কার ছাড়াও অভিনয়জীবনে দুটি বাফটা আর তিনটি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন তিনি। ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের রানির কাছ থেকে তিনি পেয়েছেন নাইট উপাধি।
১৯৬২ থেকে ১৯৮৩ সাল বন্ড সিরিজের ৭টি ছবিতে অভিনয় করেছেন শন। ১৯৮৮ সালে ‘দ্য আনটাচেবল’ চলচ্চিত্র তাঁকে এনে দেয় সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার। এ ছাড়া ‘মেরিন’, ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড’, ‘দ্য হান্ট ফর রেড অক্টোবর’, ‘ড্রাগনহার্ট’, ‘দ্য রক’ সিনেমাগুলো দিয়ে দর্শক হৃদয়ে তিনি স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।
শনের ৯০তম জন্মদিনের ঠিক আগে প্রকাশিত হলো একটি জরিপের ফল। অনেকেই তো অভিনয় করলেন বন্ডের চরিত্রে। শ্রেষ্ঠ বন্ড কে? রেডিও টাইমস-এর পাঠকেরা শ্রেষ্ঠ বন্ড নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছেন। শ্রেষ্ঠ বন্ড হয়েছেন শন কনারি। তাঁর কাছে হেরেছেন রজার মুর, পিয়ার্স ব্রসনান, ড্যানিয়েল ক্রেইগের মতো বন্ডেরা।
৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন শন কনারি। সম্ভবত সেটিই ছিল কনারির জন্মদিনের সেরা উপহার। রেডিও টাইমসের প্রধান সম্পাদক বলেছিলেন, শন কনারি আবারও প্রমাণ করলেন যে তিনিই কিংবদন্তিসম জেমস বন্ড, যাঁর স্পর্শে সবকিছু সোনায় পরিণত হয়েছে।
১৯৬২ সালে ‘ডক্টর নো’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বন্ড-এর দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন শন কনারি। সেই থেকে সিরিজের প্রথম পাঁচটি ছবিতেই বন্ড হয়েছিলেন তিনি। তার পরের ছবিগুলো ছিল ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ (১৯৬৩), ‘গোল্ডফিঙ্গার’ (১৯৬৪), ‘থান্ডারবল’ (১৯৬৫) ও ‘ইউ অনলি লিভ টুয়াইস’ (১৯৬৭)।
বলা হয়ে থাকে, বন্ড সিরিজের উন্মাদনা আর ব্র্যান্ড ভ্যালু শনেরই তৈরি। অন্য বন্ডরা সেটিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। প্রথম পাঁচটি ছবির পরও ১৯৭১ ও ১৯৮৩ সালে ‘ডায়মন্ডস আর ফরএভার’ ও ‘নেভার সে নেভার অ্যাগেইন’ ছবিতে আবারও বন্ড হিসেবে দেখা দেন তিনি। বন্ড সিরিজের এই সাত ছবিই বাণিজ্যিকভাবে সফল।