এতে বলা হয়, ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী মধ্যরাত (৩১ জানুয়ারি, শুক্রবার দিবাগত রাত) ১২টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যানবাহনগুলোর ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা পরিবহনগুলো হচ্ছে- বেবি ট্যাক্সি/অটোরিকশা, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পু এবং যন্ত্রচালিত অন্যান্য যানবাহন।
এছাড়া ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের এজেন্ট ও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।
নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনে বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি কাজে (অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিয়োগাযোগ ইত্যাদি) ব্যবহারের জন্য যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারে। এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক অথবা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মহাসড়ক ছাড়াও আন্তঃজেলা বা মহাসড়ক থেকে বাহির বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান রাস্তার সংযাগ সড়ক বা উক্তরূপ সব রাস্তায় যান চলাচল নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহায়তায় নিয়োজিত গাড়ির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। বিদেশ বা দেশের বিভিন্ন স্থানে গমন অথবা বিদেশ বা দেশের বিভিন্ন স্থান হতে আগত যাত্রীদের বিমান অথবা নৌ বন্দর বা বাস স্টেশন বা টার্মিনালে যাওয়ার জন্য অথবা বন্দর বা স্টেশন হতে বাসস্থানে যাওয়ার জন্য এবং অনুরূপ গুরুত্বপূর্ণ কাজে চলাচলের জন্য নিয়োজিত (টিকিট, পাসপোর্ট বা অনুরূপ উপযুক্ত কাগজপত্র বা প্রমাণাদি থাকা সাপেক্ষে) যানবাহন ক্ষেত্রবিশেষে মোটরসাইকেল নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে বলা হয়েছে।