রোববার চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছেন পাঞ্জাব। যার ফলে নিজেদের ১৪ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১২ এবং নিশ্চিত হয়ে যায় বিদায়ঘণ্টা। অথচ আম্পায়ারের ভুলে ২ পয়েন্ট না খোয়ালে প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের লড়াইয়ে টিকে থাকত পাঞ্জাব। যা হয়নি সেই এক ভুলের কারণে
ঘটনা গত ২০ সেপ্টেম্বরের। আসরের দ্বিতীয় ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিট্যালস ও কিংস এলেভেন পাঞ্জাব। দিল্লির দেয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯তম ওভারে কাগিসো রাবাদার ইয়র্কার লেন্থের একটি ডেলিভারিকে লং অনের দিকে ঠেলে দেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দ্রুততার সঙ্গে দুই রান নেন দুই ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক ও ক্রিস জর্ডান।
কিন্তু স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো আম্পায়ার নিতিন মেনন জানান, জর্ডার প্রথম রান নেয়ার সময় পপিং ক্রিজের ভেতরে ব্যাট ছোঁয়াননি। যার ফলে সেই দুই রান থেকে একটি রান কেটে নেয়া হয়। শেষপর্যন্ত এই এক রানের জন্যই মূল ম্যাচটি টাই হয় এবং খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। পরে সেই সুপার ওভার জিতে ২ পয়েন্ট পায় দিল্লি, পাঞ্জাব পায় হতাশ।
অথচ ভিডিও রিপ্লেতে স্পষ্টত দেখা গেছে, সেই রানটি বৈধভাবেই সম্পন্ন করেছিলেন জর্ডান। আর এটি দিলেই ম্যাচ জিতে যেতো পাঞ্জাব। এই ম্যাচ শেষে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া টুইটবার্তায় সতর্ক করেছিলেন, ‘বিষয়টা কেমন হবে যদি ২ পয়েন্টের জন্য পাঞ্জাব পরের রাউন্ডে যেতে না পারে? খুবই কঠিন!’ শেষতক তার কথাই সত্যি হলো।
যা মানছেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও। চেন্নাইয়ের কাছে হারের পর রাহুলও বলছেন, আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে আসা সেই শর্ট রানই মূলত বিদায়ঘণ্টা বাজিয়েছে তাদের। পাশাপাশি বেশ কিছু ম্যাচ ভালো খেলেও জিততে না পারার ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করেছেন রাহুল।
চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর তার ভাষ্য, ‘অনেক কিছুই ভিন্নরকম হতে পারত। এটা খুবই হতাশার ছিল। পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায়, বেশ কিছু ম্যাচ আমাদের হাতের মুঠোয় ছিল, কিন্তু আমরা জিততে পারিনি। এর দায় অবশ্যই আমাদের। প্রথম ম্যাচের কথাই যদি বলি, সেই শর্ট রানই ফিরে এসে আমাদের শক্ত কামড় বসালো।’
পরক্ষণেই যেন দার্শনিক বনে যান পাঞ্জাব অধিনায়ক। বলেন, ‘আসলে এটাই জীবন। আমরা সবাই ভুল করে থাকি। এ মৌসুমে দল হিসেবে আমরা বেশ কিছু ভুল করেছি। এটি মেনে নিতে হবে আমাদের। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’