সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল থেকে এ ঘোষণা দেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করে সংগঠনটি। এরপর দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল শুরু হয়।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে মিছিলটি বেইলি রোড়ের সামনে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে হেফাজতের নেতারা সেখানে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।এখানে মুনাজাত করে ঘেরাও মিছিল সমাপ্ত করেন হেফাজতের ঢাকার শীর্ষনেতা নূর হোসেন কাশেমী। দলীয় সিদ্ধান্তে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে ভোর ৬টা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতের কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১১টায় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিজয়নগর, প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, গুলিস্তান সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। আশপাশের এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।
সমাবেশে হেফাজতের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফ্রান্সের বক্তব্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা ও ঘৃণা প্রস্তাব আনার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, রাসুলকে (সা.) দুনিয়ার সবকিছু থেকে ভালোবাসতে না পারলে তার ঈমান থাকবে না। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের এই বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর সরকার আজ পর্যন্ত ফ্রান্সে আমাদের নবীকে যে অপমান করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করে নাই।
তারা আরও বলেন, যারা মুসলমানদের স্বার্থে নিজের ঈমানের পক্ষে কথা বলে না তারা আজকে ক্ষমতায় থাকার অধিকার রাখে না। আজ মুসলামন ও ঈমানদের পক্ষে যদি সরকার ঐক্যমত পোষণ করে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করতে ব্যর্থ হয়, তা হলে এ দেশের জনগণ এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেবে না।
ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি বাস্তবায়নে পুলিশ বাধা দিয়েছে দাবি করে তারা বলেন, আজকে রাস্তায় রাস্তায় বাধা দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে তারা কাদের পক্ষ অবলম্বন করেছে।