বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত এলাকায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১২ এুপ্রল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন। তিনি জানান, যেসব এলাকায় যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে, সেসব এলাকার সব পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, রুমা-রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকার সব হোটেল মালিকদের পর্যটক বা ভ্রমণকারীদের হোটেল রুম ভাড়া না দেয়ার পাশাপাশি যৌথ অভিযান পরিচালিত এলাকার কাছাকাছি পর্যটন স্পটে তাদের না নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র সদস্যরা ব্যাংকের নিয়োজিত গ্রাম পুলিশ ও ব্যারেকে থাকা আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া ডাকাতির সময় ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে অভিযানে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় ব্যাংক সংলগ্নে অবস্থিত মসজিদে সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করে তারাবি নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের জিম্মি করে মারধর করা হয়।
পরদিন ৩ এপ্রিল দিন-দুপুরে উপজেলা থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়-সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যরা।
এ ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় একাধিক মামলা করা হয়। পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নারীসহ ৫৮ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                