গত শতকের চেয়েও দুষ্টু আর ভয়ানক এক ডাইনি আসছে। ছবি মুক্তির আগে সে রকমই জানানো হয়েছিল। পরে দেখা গেল ভয় তো দূরের কথা, হাসিয়ে একসার করে ফেলেছে নতুন ডাইনি। নতুন ছবি দ্য উইচ–এ ভালো ডাইনিও হতে পারলেন না অ্যান হ্যাথাওয়ে।
ব্রিটিশ লেখক রোলড ডালের সৃষ্টি ডাইনির চরিত্রটির ওপর ১৯৯০ সালে নির্মিত হয় দ্য উইচ ছবিটি। সেই গল্পটির নির্যাস নিয়ে পুনরায় দ্য উইচ নির্মিত হয়েছে ২০২০ সালে। সেই ছবিতে অভিনয় করেছেন হলিউড তারকা অ্যান হ্যাথাওয়ে। শিশুদের গল্পের এই ছবির জন্য পরিচালক রবার্ট জেমেকিস কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে নিয়েছেন তারকা নকশাকার জোয়ানা জোনস্টোনকে। তাঁর পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রীয় চরিত্রের অ্যান হ্যাথাওয়েকে যেন একই সঙ্গে ফ্যাশনেবল ও ভয়ংকর দেখানো যায়। প্রচুর উপকরণ ব্যবহার করে শেষমেশ তাঁকে ভয়ানক দেখানো যায়নি। বরং দেখা গেছে অনেকটা হাস্যরসাত্মক। তবে ডাইনির পোশাকগুলো ছিল চোখে পড়ার মতো। পোশাকগুলো ভীষণ পছন্দ করেছিলেন ইয়ান। কোন পোশাকটি তাঁর বেশি পছন্দ হয়েছিল। ইউএসএ টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘সাপ জড়ানো বেগুনি গাউনটি। আমার ছেলেকে আমার ওই গাউনের সাপটার একটা নাম দাও। সে সাপের নাম রাখল স্নিকস। বলতে পারেন এ কারণে পুরো সিনেমায় ওই পোশাকই আমার সবচেয়ে প্রিয়।’
শিশুদের জন্য ছবি। একটু ভয় না লাগলে চলবে কেন! কিন্তু নকশাকার গত শতকের ষাটের দশকের সুপারমডেলদের মতো করে সাজিয়েছেন ইয়ানকে। তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। বরং সিনেমার রিভিউ লেখকেরা ছবিটি দেখে যতটা না ভয় পেয়েছেন, তার চেয়ে তাঁদের হাসিই পেয়েছে বেশি। অথচ ডালের গল্প পড়ে শিশুদের কলিজা কেঁপে যায়। তা ছাড়া মূল গল্পের সঙ্গে ছবির খুব বেশি মিলও নেই।
গত মাসে মুক্তি পেয়েছে দ্য উইচ ছবিটি। যাঁরা আনন্দ পেতে চান, শিশুদের নিয়ে তাঁরা দেখতে পারেন ছবিটি। ভয় পাবেন না, সেটা ট্রেলার দেখলেও বুঝতে পারবেন।