বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ভার্চুয়াল সভায় তারা বাণিজ্য-বিনিয়োগ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, এজ অব ডুয়িং বিজনেস, আর্থিক খাতে গৃহীত পদক্ষেপ, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, শিক্ষা-সংস্কৃতি, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্রণোদনার সুযোগ নিয়ে অধিক হারে মুনাফার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। এখানে বিনিয়োগ করে কারোরই কখনও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে কাঙ্খিত লক্ষ্যে। আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম এবং এসডিজির লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে বিদেশি ঋণ এবং বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, সম্ভাব্য উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে নরওয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, জাহাজ তৈরি ও মেরামত কারখানা, পানি সম্পদ ও নদী ড্রেজিং, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন এবং যোগাযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারে।’
বাংলাদেশ দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রদূত দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘১০ বছর আগে আমি বাংলাদেশে এসেছিলাম। কিন্তু সেই বাংলাদেশ আর এই বাংলাদেশ এক নয়। বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে নরওয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতার বহুবিধ সুযোগ রয়েছে।’
সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দু’দেশের পারস্পারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
অর্থসংবাদ/ এমএস