বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষ শাপলায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাংকের ৭টি শাখা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. আহমেদ বলেন, এই ব্যাংক শুধুমাত্র পুলিশের ব্যাংক নয়, দেশের সাধারণ মানুষের ব্যাংক, সকলের ব্যাংক। এ লক্ষ্যেই ব্যাংকের নামকরণ করা হয়েছে 'কমিউনিটি ব্যাংক'। আমানতকারী ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কমিউনিটি ব্যাংকের সঙ্গে আস্থা নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। আপনাদের আমানত সুরক্ষিত থাকবে।
ব্যাংকারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কাস্টমারদের সঙ্গে আচরণ, সার্ভিস ডেলিভারিসহ সব ক্ষেত্রে আপনাদেরকে স্মার্ট হতে হবে। আমানতকারী ক্ষুদ্র বা বড় যেই হোক না কেন সবার সঙ্গে সমান আচরণ করতে হবে, যেন মানুষ কমিউনিটি ব্যাংকে প্রবেশ করেই বুঝতে পারে এটি একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন স্বতন্ত্র ব্যাংক।
করোনার প্রসঙ্গ টেনে আইজিপি বলেন, কোভিড আক্রান্ত হয়ে যখন বিশ্বের অনেক বাঘা অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে, সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও প্রজ্ঞায় বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
পরে তিনি একটি সুইচ টিপে ডিজিটালি ব্যাংকের শাখাসমূহ উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে একটি কেক কাটা হয়।
ব্যাংকের শাখা প্রান্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি (এএন্ডও) ড. মইনুর রহমান চৌধুরী এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউল হক চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ব্যাংকের পরিচালক এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনকৃত ৭টি শাখা হলো- নরসিংদীর পাঁচদোনা, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, কুমিল্লার গৌরীপুর, খুলনার খুলনা, দিনাজপুরে রাণীরবন্দর, ঢাকার নবাবগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাখা। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠার পর মাত্র এক বছরে সারা দেশে কমিউনিটি ব্যাংকের শাখার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭।