ইটিবিএল হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মাহবুবুর রহমান সম্প্রতি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের (এইচবিএস) বেকার লাইব্রেরির ক্রিয়েটিং ইমার্জিন মার্কেট প্রজেক্টের (সিইএমপি) আওতায় সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তার এ সাক্ষাৎকার হার্ভার্ড বেকার লাইব্রেরির ঐতিহাসিক সংগ্রহে থাকবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনি ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামে ইস্টার্ন ট্রেডিং কোম্পানি (বর্তমানে ইটিবিএল হোল্ডিংস) গঠনের মাধ্যমে প্রথম ব্যবসা শুরু করেন। প্রাথমিক অবস্থায় ভোগ্যপণ্য আমদানি করতেন। যেসব বিদেশি কোম্পানি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পণ্য বিক্রি করত তাদের প্রতিনিধিত্ব করতেন।
ষাটের দশকের শেষে ইটিবিএল হোল্ডিংস তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় একটি কোম্পানির নারকেল তেলের একক পরিবেশক নিযুক্ত হয়।
তিনি তার সাক্ষাৎকারে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়া আশির দশকের প্রথম দিকে বেসরকারি খাত ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তার জোর প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।
মাহবুবুর রহমান দেশের প্রথম অর্থনীতিবিষয়ক ইংরেজি দৈনিক ’ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস’র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। তিনি সংবাদপত্রের প্রকাশনায় তার প্রবেশের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সাক্ষাৎকারে।
আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে মাহবুবুর রহমান দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের সংস্কারে নিজের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট ও এর পরের পরিস্থিতি বাংলাদেশ কীভাবে মোকাবিলা করেছে তারও উল্লেখ করেছেন।
মাহবুবুর রহমান মনে করেন, বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার এবং বেসরকারি খাতের জন্য সবচেয়ে বড় সুযোগ দারিদ্র্য বিমোচনে জড়িত হওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান অনুসন্ধান করা।
অর্থসংবাদ/এসআর