এখন থেকে দুদক গ্লোব-ই নেটওয়ার্কের (পুরো নাম দ্য গ্লোবাল অপারেশনাল নেটওয়ার্ক অব অ্যান্টিকরাপশন ল এনফোর্সমেন্ট অথরিটিজ) সদস্য অন্য দেশের ফোকাল পয়েন্টের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে নিয়ম মেনে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারবে। এই প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহে দুদককে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের মুখাপেক্ষী হতে হবে না।
সূত্র জানায়, দুদক বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের তথ্য সংগ্রহ করতে প্রথমে জাতিসংঘের ড্রাগ ও অপরাধবিষয়ক অফিসের (ইউএনওডিসি) গ্লোব-ই নেটওয়ার্কের ই-মেইলে চিঠি বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাবে। সংস্থাটি পরে ওইসব কাগজপত্র ই-মেইলে সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠাবে। গ্লোব-ই নেটওয়ার্ক বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত কাগজপত্র দেখবে না বা যাচাই করে না। সেগুলো পাওয়ামাত্র সরাসরি পাঠিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে তারা এক দেশের তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে আরেক দেশে কাগজপত্র পাঠাতে গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে।
গ্লোব-ই নেটওয়ার্কের আনুষ্ঠানিকতার পর তথ্যপ্রত্যাশী এবং তথ্য প্রদানকারী দেশের ফোকাল পয়েন্ট সরাসরি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে। তারা চিঠি চালাচালি করবে। ফোনে কথা বলবে, অনলাইনে আলোচনা করবে। প্রয়োজনে দুই দেশের ফোকাল পয়েন্টের কর্মকর্তারা সশরীরে সভা করতে পারবেন।
এমআই