এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার তিনজন সদস্য বলেন, একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর মন্ত্রিসভায় কিছুটা রদবদল করাই ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি কৌশল। মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই মন্ত্রিসভায় একদফা রদবদলের গুঞ্জন চলছিল। তবে করোনাকালে লকডাউন ও বিশ্বব্যাপী উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তা হয়নি।
করোনায় ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর থেকেই সরকারের ভেতরে মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন আরও জোরালো হয়। মন্ত্রিসভায় রদবদলের বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় এ বিষয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু বলার সুযোগ নেই। তাই রদবদল না হলেও ‘শূন্যস্থান’ পূরণ হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্যেষ্ঠ একজন মন্ত্রী বলেন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী যে কোনো সময় নিয়োগ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে রেখেছেন তিনি। দু’একটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পরিবর্তনের কথা থাকলেও আপাতত সেই সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন।